উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩/১২/২০২৩ ৮:৩২ এএম

নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তের ওপারে এবার বিদ্রোহী গোষ্ঠি আরএসও ও আরসার মধ্যে চৌকি দখল নিয়ে সংঘর্ষ-গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে টানা কয়েক হাজার রাউন্ড গোলাগুলির শব্দ শুনেছেন স্থানীয়রা। এসব গোলাগুলির শব্দে রীতিমতো কেঁপে উঠেছিলো তুসব্রু, তুমব্রু চাকমা পাড়া ও বাইশফাঁড়ি সহ আশপাশের গ্রাম।

তুমব্রু ও বাইশফাঁড়ি সীমান্তে বসবাসরত আবু ছৈয়দ ও রিপন চাকমা বলেন, সীমান্তের ৩৫/৩৬ নম্বর পিলার তথা হাতির ঝিরি ও মক্কুরটিলা এলাকায় ওপার থেকে হঠাৎ গোলাগুলির শব্দ শুনতে পায় তারা। যা ছিল টানা পৌঁনে ১ ঘন্টা। এরই মধ্যে ভারী অস্ত্র ও মাঝারী অস্ত্রের হাজার হাজার গোলার আওয়াজ তারা শুনেন নিজ কানে। যাতে তাদের এলাকা কেঁপে উঠে থরথর করে।
অপর একাধিক সূত্র দাবী করেন, এ সীমান্তে সরকারী ও বিদ্রোহী বাহিনীর কারো নিয়ন্ত্রন ছিলো না ১ টি মিয়ানমার সরকারের সীমান্ত চৌকি। চৌকি টি মাঝখানে আরকার দখল করে নেয় কয়েক মাস আগে। আজ-কাল তারা এটি ছেড়ে দিয়ে অন্যত্র চলে যায়।
এ চৌকি’টি সরকারী দল আবারো দখলে নিতে তাদের সমর্থিত আরসা শসস্ত্র গোষ্ঠীকে লেলিয়ে দেয়। অপর দিকে অবস্থান হারা আরএসও (আরকার সলিডারিটি অর্গনাইজেশন) তাদের সীমান্তে আস্তানা গাড়তে এ চৌকিটি তাদের দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠে ২ দিন ধরে। যার শেষ পরিণতি ঘটে শুক্রবার সকাল ১২ টার দিকে।

এ নিয়ে পৌঁনে ১ ঘন্টা গোলাগুলির পর মিয়ানমার সেনা সমর্থিত আরসা স্বশস্ত্র গোষ্ঠি ও সেনা বাহিনী যৌথভাবে পাল্টা হামলা করলে আরএসও পিছু হটে। এর পরপর চৌকিটি সেনারা নিয়ন্ত্রনে নিয়ে নেয়। এখন এ নিয়ে সেখানে থমথম অবস্থা বিরাজ করছে।
এদিকে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোঃ শফিকের সঙ্গে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন হঠাৎ করে প্রচন্ড গোলাগুলির আওয়াজে প্রকম্পিত হয়ে উঠে ঐ সীমান্ত এলাকার মাটি। তার ধারণা হয়তো মিয়ামারের ভিতরে সে দেশের সেনাবাহিনী এবং বিদ্রোহী সশস্ত্র গ্রুপের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে ওই সংঘর্ষের ব্যবহৃত গুলাগুলির শব্দ তমব্রু সীমান্ত এলাকাতে এসে পৌঁছেছে। তমব্রু বাজার এলাকার ব্যুবসায়ী মোঃ সরোয়ার বলেন প্রচন্ড গোলাগুলি যখন শুরু হয় তখন ছিল জুমার নামাজের সময় নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে যাওয়ার সময় উক্ত গোলাগুলির আওয়াজ সবাই নিজ কানে শুনেছেন। তার মতে কম করে হলেও ৫ থেকে ৬ হাজার রাউন্ড গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার ১৯ ডিসেম্ভর ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকায় জনসাধারণনকে না যাওয়ার জন্যন ইকিং করে সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু এ সীমান্তের অনেকেই জীবন-জীবিকার তাগিদে সে নিষেধাজ্ঞা মানছে না। অথচ সীমান্তে প্রচন্ড গোলাগুলির ঘটনা ঘটে যাচ্ছে।

সুত্র: দৈনিক কক্সবাজার

পাঠকের মতামত

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রধান কৌঁসুলি

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান কৌঁসুলি করিম খান কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে করছেন। এসময় ...

সোনাদিয়া দ্বীপে বেজার ইকো-ট্যুরিজম পার্কের কার্যক্রম স্থগিত

কক্সবাজারের মহেশখালীতে সোনাদিয়া দ্বীপে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) ইকো-ট্যুরিজম পার্ক গড়ে তোলার শর্তে সরকারের ...

দু'দিনের বার্ষিক আয়োজনে পরিচালক মিশু- ওশান প্যারাডাইসের কর্মীরা নৈতিকতা-সেবা ও কর্মদক্ষতায় প্রসিদ্ধ

কর্মজীবীরাই একটি প্রতিষ্ঠানের প্রাণ। পর্যটন জোনের তারকা হোটেল গুলোর সুনাম এখানকার বিভিন্ন বিভাগে কাজ করা ...

টেকনাফে শ্রেণিকক্ষে যৌন হয়রানি: প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ইউএনওর কাছে অভিযোগ

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ...

সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে নতুন সিদ্ধান্ত

কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী কেয়ারী সিন্দাবাদ নামক একটি জাহাজকে চলাচলের অনুমতি দিয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। আরও ...